সকালে খালি পেটে কি খেলে ওজন বাড়ে
আমাদের দৈনন্দিন সুস্থ জীবন ধারায় সঠিক ওজন বজায় রাখাটা অত্যন্ত জরুরী।
আমাদের মধ্যে অনেকে রয়েছে যারা অতিরিক্ত ওজনের জন্য সমস্যায় আছেন। ওজন কমানোর
জন্য তারা চেষ্টা করেন। আবার অনেকে রয়েছেন যারা কম ওজনের জন্য বিব্রতকর অবস্থায়
পড়েন।
কি খেলে ওজন বাড়বে তা জানতে চান। আপনাদের জন্য খালি পেটে কি খেলে ওজন
বাড়ে সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব । স্বাস্থ্যকর ওজন বাড়ানোর জন্য আপনার
দৈনন্দিন খাবার তালিকায় এই খাবারগুলো রাখতে পারেন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ সকালে খালি পেটে কি খেলে ওজন বাড়ে
- সকালে খালি পেটে কলা খেলে ওজন বাড়ে
- ওজন বাড়াতে কেন ডিম খাবেন?
- সকালে খালি পেটে দুধ খান ওজন বাড়াতে
- সকালে খালি পেটে খেজুর খেলে ওজন বাড়ে
- সকালে খালি পেটে কিসমিস খেয়ে ওজন বাড়ান
- ওজন বাড়াতে সকালে খালি পেটে বাদাম খাওয়াটা জরুরী
- সকালে খালি পেটে গুড়ের পানি খেলে ওজন বাড়ে
- সকালে খালি পেটে সেদ্ধ বা ভাজা আলু খেলে ওজন বাড়বে
- পাকা আম খেলে ওজন বৃদ্ধি পায়
- সকালে পিনাট বাটার খেলে ওজন বাড়ে
- সকালে খালি পেটে গমের রুটি খেলে ওজন বাড়ে
- সকালে খালি পেটে শুকনো ফল খেলে ওজন বাড়ে
- ওজন বাড়াতে সকালে খালি পেটে মধু খান
- সকালে খালি পেটে চিয়াসিড খেলে ওজন বাড়ে
- সকালে খালি পেটে স্মুদি বানিয়ে খেলে ওজন বাড়ে
- ওজন বাড়াতে অ্যাভোকাডো খেতে পারেন
- ওজন বাড়াতে খালি পেটে বেশি বেশি পানি খাবেন
- শেষ কথা
সকালে খালি পেটে কলা খেলে ওজন বাড়ে
কলা অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি ফল। কলাতে রয়েছে স্বাস্থ্যকর প্রাকৃতিক
কার্বোহাইড্রেট এবং এতে রয়েছে প্রচুর ক্যালরি। কলাতে আরো রয়েছে
ভিটামিন বি৬ যা আপনার শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে এছাড়াও
এতে রয়েছে প্রচুর ফাইবার যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করবে হজম শক্তি বৃদ্ধি করবে
হার্টের রোগের ঝুঁকি কমাবে। সকালে খালি পেটে কি খেলে ওজন বাড়ে এ প্রশ্নের উত্তর মিলবে সকালে খালি পেটে কলা খেলে।
যেহেতু কলাতে প্রচুর ক্যালরি রয়েছে তাই সকালে খালি পেটে কলা খেলে ওজন
বৃদ্ধির সাথে সাথে শরীরের ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ হবে। এছাড়া কলা শারীরিক
দুর্বলতা দূর করে। কলা একটি সহজলভ্য ফল এটি সারা বছরই খুব কম দামে বাজারে
পাওয়া যায়। কলা কেটে নেওয়া বা ছিলে নেওয়ার ঝামেলা নেই।
তাই অনায়াসে মোটা হওয়ার জন্য সকালে খালি পেটে একটি দুটি কলা খাওয়া যেতে
পারে। তাছাড়া দুধের সঙ্গে মিশিয়েও কলা খেতে পারেন। বেশি খাইলে যে মোটা
হওয়া যায় এটা ঠিক নয়। এর জন্য প্রয়োজন স্বাস্থ্যকর খাবার ও নিয়ম মেনে
খাওয়া । তাই আপনি যদি সঠিক ও স্বাস্থ্যকর উপায়ে মোটা হতে চান তাহলে সকালে
খালি পেটে একটি দুটি কলা খান।
ওজন বাড়াতে কেন ডিম খাবেন?
সকালে খালি পেটে ডিম খেয়ে আপদি স্বাস্থ্যসম্মতভাবে মোটা হতে পারেন। ডিম
অত্যন্ত ভালো মানের একটি পুষ্টিকর খাবার। ডিমের কুসুমে থাকে প্রচুর ক্যালরি।
ডিমকে প্রকৃতির মাল্টিভিটামিন বলা হয়।ডিম উচ্চমানের প্রোটিন ও
স্বাস্থ্যকর চর্বিতে ভরপুর। এটি শরীরের পেশি তৈরি করতে এবং শক্তি বাড়াতে
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও ডিমে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন ও
মিনারেল।
ডিমে থাকা ভিটামিন এ আমাদের চোখকে সুস্থ ও ভালো রাখে এবং ভিটামিন বি২
আমাদের ত্বককে সুস্থ ও সুন্দর করে। ডিমে জিংক নামের মিনারেল থাকে যা
আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। প্রতিদিন নিয়মিত সকালে খালি
পেটে একটি ডিম খেলে পুষ্টি চাহিদা পূরণ হয় দিন শুরু হয় শক্তি ও উদ্যমতার
মাধ্যমে যা আমাদের শরীরের ওজন বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
তাছাড়া ডিম অত্যন্ত সহজলভ্য একটি খাবার। এটি সবসময় খুব সহজে স্বল্প
দামে পাওয়া যায়। এখন নিশ্চয়ই আপনি বুঝতে পেরেছেন ওজন বাড়াতে কেন আপনি
সকালে খালি পেটে ডিম খাবেন। তবে কখনোই আপনি কাঁচা ডিম খাবেন না। তাই
স্বাস্থ্যকর উপায়ে মোটা হতে চাইলে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে একটি ডিম খান।
সকালে খালি পেটে দুধ খান ওজন বাড়াতে
দুধ ছোট বড় সকলেরই খুব পছন্দের একটি খাবার। দুধ পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুব
কমই আছে। দুধ অত্যান্ত পুষ্টিকর একটি খাবার। সকালে খালি পেটে দুধ খাওয়ার যে কত
উপকারীতা রয়েছে, যা আপনার ওজন বাড়াতে কতটা সাহায্য করবে তা নিয়ে এখন
বিস্তারিত আলোচনা করব। দুধে শরীরের জন্য উপকারী প্রায় সব ধরনের পুষ্টিগুণ
রয়েছে।
এতে রয়েছে প্রচুর ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি যা হাড় ও দাঁত কে মজবুত করে।
তাছাড়া এতে রয়েছে ভিটামিন বি-১২ যা আমাদের শরীরে রক্ত বৃদ্ধিতে ও
রক্তস্বল্পতা পূরণে সাহায্য করে। দুধে থাকা ভিটামিন ও মিনারেল ফিটনেস বাড়ায় ও
মানসিক চাপ দূর করতে সাহায্য করে। আবার দুধ খাইলে ভালো ঘুম হয়। দুধ
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
আরও পড়ুনঃদুধের উপকারিতা ও অপকারিতা সমূহ
দুধে আরও পুষ্টিগুণ পেতে আপনি দুধের সাথে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন এতে আরো উপকার
পাবেন। দুধ খেয়ে যদি আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হয় তাহলে আপনি দুধকে ফ্রিজে
রেখে একটু ঠান্ডা করে খেতে পারেন তাহলে আর গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হবে না।দুধ অতি
সহজলভ্য একটি খাবার। গ্রামে প্রায় প্রত্যেক বাড়িতেই দুধ পাওয়া যায়।
দুধে আরেকটি সুবিধা হল এটি অনায়াসে সকালে অন্যান্য খাবারের সাথে একগ্লাস দুধ
খেতে পারেন যা আপনার ওজন বাড়াতে সাহায্য করবে। তাই স্বাস্থ্য সম্মত
উপায়ে শরীরের ওজন বাড়াতে চাইলে সকালে খালি পেটে এক গ্লাস দুধের বিকল্প নেই।
আপনার যদি শরীরের ওজন অনেক কম হয়ে থাকে যদি আপনি স্বাস্থ্য সম্মত
উপায়ে শরীরের ওজন বাড়াতে চান তাহলে এই উপায়টি চালু করতে পারেন।
সকালে খালি পেটে খেজুর খেলে ওজন বাড়ে
খেজুর পুষ্টিগুণ সম্পন্ন অতি সুস্বাদু একটি ফল। প্রতিদিন সকালে দুটি করে খেজুর
খেয়ে আপনি স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে ওজন বাড়াতে পারেন। খেজুরের রয়েছে
প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা আমাদের হজমে সহায়তা করে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং
হার্টের রোগের ঝুঁকি কমায়। এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম ,ম্যাগনেসিয়াম ও ফসফরাস যা
আমাদের হার ও দাঁত কে মজবুত করে।
এছাড়া খেজুরে রয়েছে আয়রন আর ফলিক এসিড যা আমাদের রক্তের হিমোগ্লোবিনের
মাত্রা বৃদ্ধি করে এবং রক্তস্বল্পতা দূর করে। খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ
প্রাকৃতিক চিনি যা শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করে ও ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। তাছাড়া
খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি যা রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ও ত্বককে সুন্দর ও কোমল রাখে ।
যারা নিয়মিত খেজুর খান তারা ঠান্ডা কাশি ও অন্যান্য সংক্রমণ থেকে দূরে থাকেন।
সকালে কয়েকটা খেজুর খেলে শুধু যে ওজন বাড়ে তা নয় স্বাস্থ্যেরও উন্নতি হয়।
তাই আপনি প্রতিদিন সকালে খালি পেটে কয়েকটা খেজুর খেয়ে সুস্থ ও ভালো থাকুন
ও স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে ওজন বৃদ্ধি করুন।
সকালে খালি পেটে কিসমিস খেয়ে ওজন বাড়ান
সকালে খালি পেটে কি খেলে ওজন বাড়ে এই প্রশ্নের উত্তর পাবেন এ আলোচনায়। ওজন বাড়ানোর ক্ষেত্রে কিসমিস যে কতটা কার্যকরী তা আজকের এই আলোচনা থেকে জানতে
পারবেন। শরীরের ওজন বাড়ানোর জন্য প্রচুর ক্যালরি প্রয়োজন হয়। আর এই
কিসমিসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালরি। প্রতি ১০০ গ্রাম কিসমিসে রয়েছে ২৯৯
ক্যালোরি যা দৈনিক ক্যালরি গ্রহণের ১৫%। রাতে এক গ্লাস পানিতে কিছু পরিমাণ
কিসমিস ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে সে পানিসহ কিসমিস খেলে দ্রুত ওজন বৃদ্ধি
পায়।
যাদের ওজন অনেক কম তারা এই উপায়ে কিসমিস খেতে পারেন তাহলে দ্রুত ওজন
বৃদ্ধি পাবে। কিসমিস যেহেতু আঙ্গুর ফল শুকিয়ে বানানো হয় তাই এতে ভিটামিন
ও মিনারেল এর পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। শুধু কিসমিস খেলে অনেকের দাঁতের
সমস্যা হতে পারে এ কারণে আপনি কিসমিস বাদাম বা টক দইয়ের সাথে মিশিয়ে খেতে
পারেন তাহলে আর সমস্যা হবে না।
কিসমিস অন্যান্য খাবারের সাথে মিশিয়ে খাওয়ার ফলে ওজন বাড়াতে আরো বেশি সহায়ক
হবে। হজম করাটা অনেক সহজ। কিসমিসে রয়েছে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ভিটামিন
বি-৬,ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস প্রভৃতি উপাদান। তাই সকালে খালি পেটে কিসমিস খেয়ে
ওজন বৃদ্ধির পাশাপাশি শরীরের বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি লাভ করুন।
ওজন বাড়াতে সকালে খালি পেটে বাদাম খাওয়াটা জরুরী
সকালে খালি পেটে বাদাম খাওয়ার মাধ্যমে ওজন বাড়ানো সম্ভব। বাদামে রয়েছে
প্রচুর প্রোটিন ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাট যা আমাদের শরীরের ওজন বাড়াতে সহায়ক
ভূমিকা পালন করে। তবে যাদের শরীর মোটা তারা যদি বাদাম খান তাহলে বাদামে বেশি
ফ্যাটের কারণে আরো মোটা হয়ে যাবেন। সেক্ষেত্রে তাদের জন্য বাদামটা
এড়িয়ে যাওয়া ভাল।
আগের দিন রাতে একমুঠো বাদাম ভিজিয়ে রেখে তা পরের দিন সকালে খালি পেটে খেলে
শরীরে অনেক উপকার পাওয়া যায় এবং এটি ওজন বাড়াতে অনেক সাহায্য
করে। তাছাড়া ইচ্ছা করলে আপনি কাচা বাদামও খেতে পারেন অথবা ভেজে ও খেতে
পারেন। কাঁচা বাদাম খেলে ঘুম অনেক ভালো হয়। বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে
ভিটামিন-ই, প্রোটিন, ফাইভার এবং আরো রয়েছে ওমেগা -৩ ও
অমেগা-৬ নামক ফ্যাটি অ্যাসিড।
যা স্বাস্থ্যকরভাবে ওজন বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে বাদামে যে ফ্যাট
রয়েছে তা চিনা ও কাজু বাদামে বেশি পরিমাণে থাকে তাই এ জাতীয় বাদাম নিয়মিত
সকালে খালি পেটে খেলে ওজন বাড়ার সম্ভাবনাটা আরো বেশি থাকে। আপনি চাইলে
বাদাম অন্যান্য খাবারের সাথে মিশিয়ে যেমন দই এর সাথে বা কয়েক ধরনের বাদাম
মিশিয়ে এক মুঠো পরিমাণ সকালে খালি পেটে খেতে পারবেন।
এতে আপনার শরীরের সারাদিনের পুষ্টি চাহিদা পূরণ হবে এবং ব্রেন অনেক সতেজ হবে।
তাই সুস্থ থাকতে ও স্বাস্থ্যকর ভাবে ওজন বাড়াতে চাইলে প্রতিদিন সকালে একমুঠো
বাদাম অনায়াসে খেতে পারেন। তবে খুব বেশি পরিমাণ বাদাম খাওয়াটাও ঠিক নয় এতে
এসিডিটির সমস্যা হতে পারে তাই নিয়ম মেনে সঠিক উপায়ে বাদাম খান এতে অনেক উপকার
পাবেন।
সকালে খালি পেটে গুড়ের পানি খেলে ওজন বাড়ে
আপনি যদি কম ওজন নিয়ে চিন্তিত থাকেন এবং স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে ওজন বাড়াতে
চান তাহলে সকালে খালি পেটে এক গ্লাস গুড় মেশানো পানি খান। বিশেষ করে শীতের
মৌসুমে আপনি প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক গ্লাস গুড়ের পানে পান করে সুস্থ
থাকতে পারেন এবং ওজন বাড়াতে পারেন ।গুরে উষ্ণতার ভাব রয়েছে তাই গুড়
মেশানো পানি খেলে ঠান্ডা লাগা সর্দি কাশি সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
খালি পেটে গুড় মেশানো পানি খেলে শরীরের ক্ষতিকর টক্সিন বের হয়ে যায়। গুরে
রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন প্রভৃতি গুনাগুন।
নিয়মিত গুড় মেশানো পানি খেলে শরীরে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি পাবে,
হজমে সমস্যা দূর হবে সেই সাথে দূর হবে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা। তা ছাড়া গুড়
মেশানো পানি খেলে মাইগ্রেন এর সমস্যা দূর হয়।
আপনি চাইলে সুস্থ থাকার জন্য ও স্বাস্থ্যসম্মতভাবে ওজন বাড়াতে আগের দিন রাতে
এক গ্লাস পানিতে এক টুকরো গুড় মিশিয়ে সেই পানি পরের দিন সকালে খালি পেটে পান
করতে পারেন। অথবা এক গ্লাস গরম পানিতে এক টুকরো গুড় মিশিয়ে সকালে খালি পেটে
পান করতে পারেন। এতে মিলবে আপনার অনেক সমস্যার সমাধান এবং আপনার কম ওজন নিয়ে
বিব্রতকর অবস্থার থেকে মুক্তি।
সকালে খালি পেটে সেদ্ধ বা ভাজা আলু খেলে ওজন বাড়বে
আমরা বাঙালি আমরা। আলু আমাদের অত্যন্ত পছন্দের একটি খাবার। প্রতিদিন আমাদের
খাবার তালিকায় আলু বা আলু জাতীয় যেকোনো খাবার থাকবেই। কিন্তু আলু খাওয়ার
সঠিক নিয়মটা আমরা অনেকেই জানিনা। আলু দ্রুত শক্তি প্রদানকারী কার্বোহাইড্রেটের
একটি ভালো উৎস। এটি আমাদের শরীরে দ্রুত ক্যালোরি বাড়ায় ও শক্তির যোগান দেয়।
সকালে খালি পেটে সেদ্ধ আলু অথবা হালকা ভাজা আলু খেলে দ্রুত ওজন বৃদ্ধি পায়।
এটি স্বাদেও খুব সুস্বাদু এবং পুষ্টিরও ভালো যোগান দেয়। সেদ্ধ আলুতে রয়েছে
প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, এন্টিঅক্সিডেন্ট, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, জিংক প্রভৃতি
গুনাগুন। নিয়মিত আলু খেলে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ হয় চেহারার উজ্জ্বলতা
বৃদ্ধি পায়।
এছাড়াও পটাশিয়ামের ঘাটতি পূরণ হয় ফাইবারে চাহিদা মেটে এবং হার্ট অ্যাটাক ও
ক্যান্সারের মতো জটিল রোগের ঝুঁকি কমায়। তাই আপনার শরীরের ওজন বৃদ্ধি করতে
চাইলে এবং বিভিন্ন জটিল সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চাইলে সকালে খালি পেটে একটি
দুটি সেদ্ধ আলু অথবা হালকা ভাজা আলু খেতে পারেন।
পাকা আম খেলে ওজন বৃদ্ধি পায়
আম অতি সুস্বাদু একটি ফল। আম পছন্দ করে না এমন মানুষের সংখ্যা খুব কম। আমের
মৌসুমে সকালে নাস্তার পর একটি দুটি পাকা আম খেলে শরীরের ওজন বৃদ্ধি পায়।
আমে থাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট, চিনি ও প্রোটিন। আপনি চাইলে
প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক গ্লাস হালকা গরম দুধের সাথে আম মিশিয়ে খেতে পারেন
তাহলে দুধের পুষ্টিগুণ এর সাথে আমে থাকা উপকারী উপাদান গুলো মিশে আপনার ওজন
বাড়াতে আরো বেশি কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে। আমে থাকা পুষ্টিগুণগুলো হলো-
- পাকা আমে প্রচুর পরিমাণ ক্যালরি থাকে যা দ্রুত ওজন বাড়াতে সাহায্য করে।
- আমে থাকা প্রাকৃতিক শর্করা শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করে।
- আম ভিটামিন এ ও ভিটামিন সি এর অন্যতম উৎস।
- আমি থাকা প্যাকটিন নামক ফাইবার হজমে সাহায্য করে।
তবে অতিরিক্ত পরিমাণ আম খেলে শরীর ওজন অনেক বেশি বেড়ে যেতে পারে বা হজমে
সমস্যা হতে পারে। তাই প্রতিদিন নিয়ম মেনে আম খেতে হবে তাহলে আপনার শরীরের ওজন
সঠিকভাবে বৃদ্ধি পাবে।
সকালে পিনাট বাটার খেলে ওজন বাড়ে
একজন বাড়ানোর ক্ষেত্রে পিনাট বাটার কার্যকরী ভূমিকা পালন করেন। পিনাট বাটারে
প্রচুর পরিমাণ ক্যালরি ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাট রয়েছে। ওজন বৃদ্ধির জন্য সকালে
খালি পেটে পাউরুটির সাথে আপনি পিনাট বাটার খেতে পারেন। এটি প্রোটিন, ফ্যাটি
এসিড, খনিজ ও ভিটামিনের ভালো উৎস। এছাড়া এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি যা
স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। নিয়মিত সকালে খালি পেটে পিনাট
বাটার খেলে শরীরের ওজন দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
এটি শুধু শরীরের ওজন বৃদ্ধি করে না পিনাট বাটার খেলে পেশি শক্তিশালী হয় ও
শরীরের ভালো বিকাশ ঘটে। পিনাট বাটারে আরো রয়েছে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম,
জিঙ্ক, ফাইবার,ভিতামিন-ই ও ভিটামিন-বি ৬ প্রভৃতি। যা আপনার শরীরের ওজন বৃদ্ধিতে
ও নিয়ন্ত্রণে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে প্রমাণিত। তাই শরীরের ওজন বৃদ্ধি করতে
চাইলে প্রতিদিন সকালে পিনাট বাটার খান।
সকালে খালি পেটে গমের রুটি খেলে ওজন বাড়ে
অতিরিক্ত ওজন কম এ নিয়ে আপনি অনেক চিন্তিত? সকালে খালি পেটে কি খেলে ওজন বাড়ে?এই সব নিয়ে ভাবছেন তাহলে সকালের নাস্তায় গমের রুটি খান।
এটি আপনাকে যেমন শক্তি যোগাবে তেমনি ওজন বাড়তে সাহায্য করবে। নিয়মিত সকালে
খালি পেটে গমের রুটি খেলে ওজন বাড়বে তবে এটি নির্ভর করে দৈনন্দিন খাদ্যাভাস ও
জীবনযাত্রার উপর। গমের রুটিতে প্রচুর কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার ও কিছু
প্রোটিন রয়েছে যা আমাদের শরীরে শক্তি যোগায় ও থাকতে দীর্ঘক্ষন পেট ভরা রাখতে
সাহায্য করে। যে কারণে আপনি ওজন বাড়াতে সকালে খালি পেটে গমের রুটি খাবেন-
- গমের রুটিতে প্রচুর ক্যালরি থাকে যা ওজন বাড়াতে সহায়তা করে।
- গমের রুটিতে গমের রুটিতে থাকা ফাইভার হজম ব্যবস্থাকে উন্নত করে ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
- গমের রুটিতে রয়েছে প্রচুর কার্বোহাইড্রেট যা শরীরে শক্তি যোগায় এবং দ্রুত ওজন বৃদ্ধি করে ।
- ডিউটিতে থাকা গমের রুটিতে থাকা জিংক আয়রন ভিটামিন বি কমপ্লেক্স শরীরকে সুস্থ রাখে।
সকলে খালি পেটে গমের রুটি খাওয়ার পাশাপাশি নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। তাহলে
শরীর সুস্থ থাকবে ও ওজন বৃদ্ধি পাবে।
সকালে খালি পেটে শুকনো ফল খেলে ওজন বাড়ে
ওজন বাড়ানোর জন্য সকালে খালি পেটে শুকনো ফল খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শুকনো
ফলমূল ওজন বাড়ানোর জন্য আদর্শ খাবার। তুমি যদি পাতলা ওজনের সমস্যা কাটিয়ে
উঠতে চান এবং শরীরে স্বাস্থ্যকর চর্বি জমাতে চান তাহলে নিয়মিত সকালে খালি পেটে
এক মুঠো শুকনো ফল খেলে অনেক উপকার পাবেন।
খেজুর শুকনো ফলের মধ্যে রয়েছে খেজুর, ডুমু্র, আখরোট, কাজুবাদাম, কিসমিস
এগুলোতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি। নিয়মিত সকালে খালি পেটে শুকনো ফল
খেলে যেমন স্বাস্থ্যকর ওজন বাড়বে তেমনি সামগ্রীর স্বাস্থ্যের জন্য ব্যাপক
উপকারী। শুকনো ফল ক্যালোরি সমৃদ্ধ যা ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। তাছাড়া
শুকনো ফলে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট যেটা তো ওজন বাড়ানো সম্ভব। এতে আরো রয়েছে
ফাইবার যা হজমে সাহায্য করে এবং পেট ভরা রাখে।
শুকনো ফলে প্রাকৃতিক শর্করা থাকে যার শরীরে শক্তি যোগায়। শুকনো ফল ভিটামিন ও
খনিজ সমৃদ্ধ হওয়ায় স্বাস্থ্যর উন্নতি ঘটায়। এ আলোচনা থেকে আপনারা নিশ্চয়ই
বুঝতে পেরেছেন যে সকালে খালি পেটে শুকনো ফল খেলে কিভাবে ওজন বাড়বে। যদি আপনি
কম ওজন কে বাড়াতে চান তাহলে এই উপায়টি ফলো করতে পারেন।
ওজন বাড়াতে সকালে খালি পেটে মধু খান
সকালের শুরুতে একগ্লাস হালকা গরম দুধের সাথে এক চামচ মধু মিশিয়ে খেলে ওজন
নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং শরীরে শক্তি বৃদ্ধি পায়। মধুতে রয়েছে প্রাকৃতিক
শর্করা আর দুধে রয়েছে ক্যালসিয়াম ভিটামিন ও ফ্যাট। ফলে দুই মিশ্রণটি সকালে
খালি পেটে খেলে ওজন বৃদ্ধি পায় এবং সারাদিনের পুষ্টির চাহিদা পূরণ হয়।
মধু হজমে সাহায্য করে এবং গ্যাস কোষ্ঠকাঠিন্য ও বদহজমের মত সমস্যা দূর
করে। মধু শরীরের বিপাকক্রিয়া উন্নত করে যা ওজন বাড়াতে সহায়ক হতে পারে।
সকালে খালি পেটে গরম দুধের সাথে অথবা হালকা গরম পানির সাথে এক চামচ মধু
মিশেও খেতে পারেন। মধু খেলে ঠান্ডা জনিত সমস্যা যেমন- সর্দি, জ্বর, কাশির মতো
সমস্যা দূর হবে।
সকালে খালি পেটে চিয়াসিড খেলে ওজন বাড়ে
চিয়াসিড পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে খেতে পারেন এতে রয়েছে প্রচুর
পরিমাণে ফাইবার ওমেগা-৩ ফ্যাট যা আপনার ওজন বাড়াতে সহায়তা করবে। চিয়াসিড
অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি খাবার যা আপনার স্বাস্থ্যসম্মত ওজন বাড়াতে ও
স্বাস্থ্যসম্মত ওজন বজায় রাখতে সহায়তা করে। চিয়াসিডে প্রোটিন থাকে তা শরীরে
পেশী গঠনে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
চিয়াসিডে প্রচুর ফাইবার থাকে যা হজমে সহায়তা করে যার ফলে ওজন বৃদ্ধি পায়।
তাই স্বাস্থ্যকর ওজন বাড়াতে প্রতিদিন খালি পেটে চিয়াসিড খেতে পারেন এবং
ওজন কম এই বিব্রতকর অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
খালি পেটে তিলের বীজ খেলে ওজন বাড়ে
সকালে খালি পেটে তিলের বীজ গুড়ের সাথে মিশিয়ে খেলে শরীরে ওজন বৃদ্ধি পায়। এই
মিশ্রণটিতে প্রচুর ক্যালরি রয়েছে যার শরীরে ক্যালরি বৃদ্ধি করে ফলে ওজন বৃদ্ধি
পায়। তিলের বীজ উচ্চ ক্যালরিযুক্ত ও প্রচুর স্বাস্থ্যকর ফ্যাক্ট
রয়েছে যা ওজন বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে। রয়েছে ফাইবার যা
হজমে সহায়তা করে ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। তিলের বীজ যেভাবে খেলে ওজন বৃদ্ধি
পায় বা উপকার পাবেন তা হল
- প্রতিদিন সকালে এক থেকে দুই চামচ তিলের বীজ খালি পেটে খেতে পারেন।
- তিলের বীজ ভেজে দুধের সাথে মিশিয়ে অথবা যে কোন খাবারের সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন তাতে উপকৃত হবেন।
- সকালে খালি পেটে তিলের বীজ ও গুড় লাড্ডু বানিয়ে খেলে উপকার পাবেন।
প্রতিদিন সকালে খালি পেটে তিলের বীজ গুড়ের সাথে লাড্ডু বানিয়ে অথবা তিলের বীজ
ভেজে গুড়া করে দুধের সাথে মিশিয়ে খান এতে আপনার ওজন বৃদ্ধির সাথে সাথে রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
সকালে খালি পেটে স্মুদি বানিয়ে খেলে ওজন বাড়ে
ওজন বাড়ানোর জন্য প্রতিদিন সকালে খালি পেটে স্মুদি খাওয়া একটি ভালো উপায়
হতে পারে। ফল, দুধ, বাদাম দিয়ে বানানো মিশ্রণটি একটি পুষ্টিকর
স্মুদি তৈরি করে। ওজন বাড়ানোর জন্য এটি একটি প্রাকৃতিক ও স্বাস্থ্যকর
সমাধান।স্মুদিতে যদি সঠিক উপাদান যোগ করা হয় তাহলে এতে থাকবে প্রচুর
পরিমাণে ক্যালসিয়াম ভিটামিন কার্বোহাইড্রেট ও উপকারী ফ্যাট যা ওজন বাড়াতে
সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে।
যাদের খাবারে অনীহা রয়েছে তাদের জন্য এই স্মুদি বেস্ট খাবার হতে পারে কারণ
এটি খুব সুস্বাদু তাই অনাসে খাওয়া যায় যার ফলে আপনার কম স্বাস্থ্য সমস্যা দূর
হবে। স্মুদি দ্রুত হজম হয় আর শরীরে পুষ্টি উপাদান দ্রুত শোষিত হতে
সহায়তা করে। তাই আপনার ওজন বাড়াতে চাইলে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে সঠিক উপাদান
দিয়ে স্মুদি বানিয়ে খান তাহলে দ্রুত স্বাস্থ্যকর ওজন বাড়ানো সম্ভব
হবে।
ওজন বাড়াতে অ্যাভোকাডো খেতে পারেন
অ্যাভোকাডো একটি প্রতি পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যকর ফল। অ্যাভোকাডো তে রয়েছে
প্রাকৃতিক ফ্যাট ভিটামিন ও খনিজ উপাদান। যা স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে সুষম ওজন
বাড়াতে খুবই উপকারী ভূমিকা পালন করে। এটি দ্রুত ক্যালরি বাড়াতে ও শরীরের ওজন
বাড়াতে সাহায্য করে। এভোকাডো সকালে খালি পেটে স্মুদির সাথে মিশিয়ে খাওয়া
যেতে পারে।
অ্যাভোকাডোতে রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, ভিটামিন ই, পটাশিয়াম ও
ম্যাগনেসিয়াম এর মত প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ উপাদান যা আপনার
শরীরকে সুস্থ রাখতে ও ওজন বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
অ্যাভোকাডো দ্রুত শক্তি সরবরাহ করতে শরীরকে সতেজ রাখতে ও ও বেশি গঠনেও
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ওজন বাড়াতে খালি পেটে বেশি বেশি পানি খাবেন
পানি সরাসরি ওজন বাড়াতে সহায়তা না করলেও এটি সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে
সাহায্য করে যা পরোক্ষভাবে ওজন বাড়াতে সহায়তা করে। সকালে খালি পেটে পানি
পান করলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায় ও বিপাক ক্রিয়ার উন্নতি হয়। সকালে খালি পেটে
হালকা গরম পানিতে একটু লেবু মিশিয়ে খেলে শরীরের ক্ষতিকর টক্সিন বের হয়ে যায় যা
শরীরের জন্য খুবই উপকারী।
সকালে খালি পেটে পানি পান করলে শরীরে দ্রুত শক্তি আসে এবং এটি শরীরকে সতেজ
রাখতে সহায়তা করে। সকালে খালি পেটে পানি পান করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
পায়। তাই সকালে খালি পেটে বেশি বেশি পানি পান করুন যা আপনার শরীরকে সুস্থ ও
সুন্দর রাখবে ফলে আপনার শরীরের ওজন বৃদ্ধি পাবে।
শেষ কথাঃ সকালে খালি পেটে কি খেলে ওজন বাড়ে
ওজন বাড়ানো কোন ম্যাজিক নয়। এর জন্য প্রয়োজন ধৈর্য,সঠিক ও নিয়মিত খাওয়া,
পর্যাপ্ত ঘুম ও ব্যায়াম করা। শুধু বেশি বেশি পেট ভরে খেলে যে মোটা হওয়া
যায় তা নয় এর জন্য প্রয়োজন পুষ্টিকর, ক্যালোরিযুক্ত ও ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার
খাওয়া। ওজন বৃদ্ধির জন্য সকালে কোন খাবারটা খাবেন সেটা জানা বেশি জরুরি।
আশা করছি আপনারা আমার এই আর্টিকেলের মাধ্যমে সকালে খালি পেটে কোন খাবার গুলো খেলে
ওজন বৃদ্ধি পাবে সে বিষয়ে বিস্তারিত ধারণা পেয়েছেন। আপনারা আমার এই
আর্টিকেল পড়ে যদি কিছু পরিমাণ হলেও উপকৃত হন তাহলে আমি নিজেকে ধন্য মনে করব।
আমার এই আর্টিকেলে যদি কোন ভুল থেকে থাকে তাহলে ক্ষমা করবেন। এতক্ষণ সাথে থাকার
জন্য ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url