তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণের দাগ দূর করার উপায়

মসৃণ ও সুন্দর ত্বক প্রত্যেকেরই কাম্য। ত্বক যদি তৈলাক্ত হয় তাহলে ভোগান্তির শেষ থাকেনা। তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণের সমস্যা বেশি হয়ে থাকে। যার ফলে  ত্বকে অনেক বেশি দাগ হয়ে থাকে যা একটি অস্বস্তিকর অবস্থার সৃষ্টি করে।

তৈলাক্ত-ত্বকের-ব্রণের-দাগ-দূর-করার-উপায়

বাইরে বের হলে তৈলাক্ত ত্বকে ময়লা মাটি বেশি আটকে যার ফলে ত্বকে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। সেই সাথে ব্রণের সমস্যা ও বেশি হয়ে থাকে। আজকের এই আর্টিকেলে তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণের দাগ দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব। 

পোস্ট সূচিপত্রঃ তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণের দাগ দূর করার উপায়

তৈলাক্ত ত্বক চিনবেন কিভাবে

তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণের দাগ দূর করার উপায় সম্পর্কে আলোচনার এ অংশে তৈলাক্ত ত্বক চিনবেন কিভাবে তা এখন জানাবো।ঘুম থেকে উঠে যদি আপনার মুখ অতিরিক্ত তৈলাক্ত ত্বক চিনবেন কিভাবে লাগে তাহলে বুঝবেন আপনার তৈলাক্ত ত্বক। এ ছাড়া তৈলাক্ত ত্বকে কপালে,নাকের দুই পাশে ও থুতনিতে অতিরিক্ত তেল বের হয়। 

মুখ ধোয়ার কিছুক্ষণ পরে মুখে যদি তেলতেলে ভাব হয়ে থাকে তাহলে বুঝবেন আপনার  তৈলাক্ত ত্বক। তৈলাক্ত ত্বকের লোমকূপ গুলো সাধারণত বড় হয়ে থাকে। এছাড়া বাইরে গিয়ে যদি ত্বকে অতিরিক্ত ময়লা মাটি আটকে যায় তাহলে বুঝবেন আপনার তৈলাক্ত ত্বক। ত্বকে কোন প্রসাধনে ব্যবহার করার ৩০ মিনিট পর যদি আঠালো ভাব হয়ে থাকে তাহলে বুঝবেন আপনার তৈলাক্ত ত্বক।

আরও পড়ুনঃ  

তৈলাক্ত ত্বকে সাদা সাদা ঘামাচির মত অংশ দেখা যায়। ময়শ্চারাইজ ব্যবহার করলে তৈলাক্ত ত্বক অতিরিক্ত তেল শোষণ করতে পারে না। ফলে মুখ অনেক বেশি ঘেমে যায়। এসব লক্ষণ যদি আপনি দেখেন তাহলে বুঝবেন আপনার তৈলাক্ত ত্বক।

ব্রণ কি? 

ব্রণ সাধারণত ত্বকের দীর্ঘস্থায়ী ও অস্বস্তিকর অবস্থা। এটি যে কোন বয়সে হতে পারে। তবে ব্রণ সাধারণত কিশোর কিশোরীদের বয়সন্ধিকালে বেশি হয়ে থাকে।  ব্রণ ত্বকের উপর হালকা লাল ফুসকুড়ি আকারে দেখা যায়। কখনো কখনো পুজ হয়ে থাকে এছাড়া কিছু কিছু ব্রণে ব্যথা হয়ে থাকে। তৈলাক্ত ত্বকে এই ব্রণের সমস্যা বেশি দেখা যায়। তেল গ্রন্থিগুলো ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হলে ব্রণের সৃষ্টি হয়। ব্রণ কপাল,গাল,গলা ও ঘাড়ে ফুসকুড়ি আকারে দেখা যায়।

তৈলাক্ত ত্বকে কেন ব্রণ হয়?

ব্রণের দাগ দূর করার উপায় সম্পর্কে আলোচনায় এখন আলোচনা করব তৈলাক্ত তবে কেন ব্রণ হয় সাধারণত তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণের প্রভাব বেশি হয়ে থাকে। গরমের সময় ত্বকে অতিরিক্ত সেবাম উৎপাদন হয় যার ফলে ত্বক অনেক বেশি তৈলাক্ত হয় যার ফলে ত্বকরন্ধ্র বন্ধ হয়ে যায় যার কারণে ত্বকে  সংক্রমিত হয়ে ব্রণ হয়ে থাকে। এছাড়া তৈলাক্ত ত্বক অতিরিক্ত ধুলা-ময়লা টানে যার ফলে ব্রণ বেশি হয়ে থাকে। তাছাড়া বয়সন্ধিকালে কিশোর কিশোরীদের ব্রণের সমস্যা বেশী হয়ে থাকে। এছাড়া বংশগত কারণেও অনেক সময় ব্রণের সমস্যা হয়ে থাকে।

তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণের কারনে কেন দাগ হয়

তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণ হওয়া এবং তা থেকে ব্রনের দাগ হওয়ার ক্ষেত্রে ত্বকে অতিরিক্ত তেল উৎপাদন আসলে দায়ী। ব্রণ হওয়ার ফলে ত্বকে ক্ষতের সৃষ্টি হয় যার ফলে ত্বকে দাগ সৃষ্টি হয়। অনেক সময় ব্রণে হাত দিলে বা ব্রণ হাত দিয়ে তুলে ফেললে ক্ষতের সৃষ্টি হয় এতে দাগের সৃষ্টি হয়। ত্বকের নিচে কোলাজেন অতিরিক্ত পরিমাণে তৈরি হতে পারে এতে ত্বকে ক্ষত বা উঁচু-নিচু দাগ সৃষ্টি হয়। এছাড়া ব্রণ ভালো করার জন্য সবাই চেষ্টা করে। এই চেষ্টা যদি ত্রুটিপূর্ণ হয়ে থাকে তাহলেও ব্রণের দাগ হতে পারে।

ব্রণের দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায়

তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণের দাগ দূর করার উপায় সম্পর্কে আলোচনায় এখন আলোচনা করব ব্রণের দাগ দূর করার কিছু ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে। ব্রনের দাগ দূর করার ক্ষেত্রে বাজারের কেমিক্যালযুক্ত প্রোডাক্ট ব্যবহার না করে ঘরোয়া কিছু উপায় অবলম্বন করলে ভালো ফলাফল পাওয়া সম্ভব। তাছাড়া এতে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। কেমিক্যাল যুক্ত প্রোডাক্ট ব্যবহার করে ব্রণের দাগ দূর করার পরিবর্তে ত্বকে ক্ষতিই বেশি হতে পারে। চলুন তাহলে এখন ব্রনের দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায় গুলো জেনে নেওয়া যাক।

মুলতানি মাটি ব্যবহারঃ অতিরিক্ত তেলতেলে ভাব ত্বকে ব্রণের সৃষ্টি করা। ত্বকের তেলতেলে ভাব থেকে মুক্তির জন্য মুলতানি মাটি পানি দিয়ে পেস্ট করে মুখে লাগালে তেলতেলে ভাব দূর হবে। তার সাথে ব্রণ এবং ব্রণের দাগ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।

আরও পড়ুনঃ 

শসার রসঃ ত্বকে তেলতেলে ভাব থেকে মুক্তির জন্য শসার রস বেশ কার্যকরী। শসা রস ত্বকে লাগালে তেলতেলে ভাব দূর হবে এবং ব্রণ ও ব্রণের দাগ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।

কাঁচা হলুদ ও চন্দন কাঠের গুঁড়োঃ কাঁচা হলুদ ও চন্দন কাঠের গুঁড়ো সমপরিমাণ নিয়ে তার সাথে পরিমাণ মতো পানি মিশিয়ে পেস্ট করে মুখে লাগাতে হবে। তারপর শুকানোর পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। কাঁচা হলুদ ও চন্দন কাঠের গুঁড়ো শুধু ত্বকের ব্রণ সারাতে কাজ করে না ত্বকের দাগ দূর করতে ও সাহায্য করন।

আপেল ও মধু মিশ্রণঃআপেল ও মধু মিশ্রণ ব্রনের দাগ সারাতে খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। প্রথমে আপেল গ্রেট করে নিয়ে তার সাথে কয়েক ফোটা মধু মিশিয়ে ত্বকে লাগাতে হবে। এরপর .২০ মিনিট রেখে তা ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলতে হবে। এতে ত্বক অনেক বেশি টান টান দাগ মুক্ত ও ফর্সা হবে।

তুলসী পাতার রসঃ তুলসী পাতার রস এ রয়েছে নানা ঔষধি গুনাগুন। শুধু তুলসী পাতার রস ত্বকে লাগিয়ে কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলতে হবে।এতে আপনি ত্বকের ব্রণ ও ব্রণের দাগের ক্ষেত্রে অনেক উপকার পাবেন।

চন্দন কাঠের গুড়া, গোলাপজল ও লেবুর রসঃ চন্দন কাঠের গুড়া ও লেবুর রস মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে তাতে কয়েক ফোটা লেবুর রস মিশিয়ে ত্বকে লাগাতে পারেন এতে ত্বকের ব্রণ ও ব্রণের দাগ দূর করতে সাহায্য করবে।

ডিমের সাদা অংশ ব্যবহারঃ রাতের বেলা ডিমের সাদা অংশ মুখে লাগিয়ে সারারাত রাখতে পারেন আপনার ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর হবে।

দারুচিনির গুঁড়া ও গোলাপ জলঃ দারুচিনির গুঁড়া ও গোলাপজল মিশিয়ে পেস্ট করে তা ব্রণে লাগালে ব্রণের সমস্যা দূর হয়। সে সাথে চুলকানি ও ব্রণের ব্যথা অনেক অংশে কমে যায়।

পেঁপে ও চালের গুড়াঃ পেঁপে ও চালের গুড়া একসাথে পেস্ট বানিয়ে তা মুখে লাগাতে পারেন এতে মুখ অনেক বেশি পরিষ্কার হবে। ফলে ব্রণ ও ব্রণের দাগ হওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে।

মুলতানি মাটি ও নিম পাতাঃ মুলতানি মাটি ও কয়েকটি নিমপাতা বেটে তা ত্বকে লাগিয়ে ২০মিনিট পর ধুয়ে ফেলতে হবে। এতে ব্রণ ও ব্রণের দাগ থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।

পুদিনা পাতাঃ অতিরিক্ত গরমের কারণে তৈলাক্ত ত্বকে ফুসকুড়ি ও ব্রণ দেখা দেয় এ থেকে মুক্তির জন্য পুদিনা পাতা বেটে মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। 

ব্রণ ও ব্রণের দাগ দূর করার চিকিৎসা

ব্রণ যদি বেশি মাত্রই হয়ে থাকে এবং অতিরিক্ত দাগ হয়ে থাকে তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।রেটিনয়েড, এন্টিবায়োটিক ও এজেলেইক অ্যাসিডের মত টপিক্যাল ঔষধ সরাসরি ত্বকে প্রয়োগ করা যেতে পারে। ডাক্তাররা স্টেরয়েড, লেজার এবং রাসায়নিক খোসার মতো থেরাপির পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

ব্রণ এবং ব্রণের দাগ থেকে মুক্তির কিছু টিপস

তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণের দাগ দূর করার উপায় সম্পর্কে আলোচনায় এখন জানবো ব্রণ ও ব্রণের দাগ থেকে মুক্তির জন্য যেসব কাজ করা জরুরী। চলুন তাহলে এখন জেনে নেওয়া যাক ব্রানো ব্রণের দাগ থেকে মুক্তির জন্য যা যা করণীয়।

বেশি বেশি পানি পান করাঃ ব্রণ ও ব্রণের দাগ থেকে মুক্তির জন্য বেশি বেশি পানি পান করতে হবে। প্রতিদিন ৯ থেকে ১০ গ্লাস পানি পান করতে হবে। এতে আপনার তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ এবং ব্রণের দাগ থেকে মুক্তি মিলতে পারে।

মৌসুমী ফলঃ তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ এবং ব্রনের দাগ থেকে মুক্তির জন্য মৌসুমী ফল বেশি বেশি খেতে হবে এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও বৃদ্ধি পাবে। রাতে খাবারের পর যেকোনো ধরনের মৌসুমী একটি ফল খাওয়া জরুরি এতে ত্বক অনেক বেশি সতেজ থাকবে।

ফাস্টফুড থেকে বিরত থাকাঃ আপনার ত্বককে যদি ব্রণ এবং ব্রণের দাগ থেকে দূরে রাখতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনাকে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খেতে হবে এবং বাইরের খাবার বিশেষ করে ফাস্টফুড,চর্বিযুক্ত খাবার ত্যাগ করতে হবে। সাথে অতিরিক্ত চিনি ও মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়া বন্ধ করতে হবে।

লেবু খাওয়াঃ লেবুতে রয়েছে প্রচুর সাইট্রিক এসিড। যা লিভার পরিষ্কার করতে রক্তে ক্ষতিকর পদার্থ দূর করতে ও এনজাইম তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।এতে ত্বক অনেক বেশি সুন্দর ব্রণ মুক্ত ও দাগ মুক্ত হয়।

খাবার তালিকায় দই রাখাঃ দই রয়েছে অ্যান্টিফাঙ্গাল ও এন্টি ব্যাকটেরিয়াল গুণাবলী যা  ত্বক কে পরিষ্কার রাখে। তাই হেলদি ও ব্রণ মুক্ত ও দাগ মুক্ত ত্বকের জন্য নিয়মিত খাবার তালিকায় দই রাখতে হবে।

পর্যাপ্ত ঘুমঃ ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা থেকে রক্ষার জন্য বিশেষ করে ব্রণ ও ব্রণের সমস্যা থেকে মুক্তির জন্য পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে। রাত জাগা ছেড়ে দিতে হবে।

দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকাঃ অতিরিক্ত দুশ্চিন্তার কারণে ত্বকে ব্রণের মত সমস্যা দেখা দেয় এবং এর ফলে দাগের সৃষ্টি হনে। তাই আপনাকে সব সময় দুশ্চিন্তা মুক্ত ফ্রেশ থাকতে হবে।

মুখে হাত দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবেঃ অনেক সময় মুখে যদি ব্রণ হয় তাহলে আমাদের একটি বদঅভ্যাস হলো সারাক্ষণ মুখে হাত দিয়ে ব্রণ নাড়াচাড়া করা। এতে করে ব্রণের অবস্থা আরও খারাপ হতে পার। যার ফলে ব্রণ লাল হয়ে ফেটে যেতে পারে তাতে ক্ষত হয়ে  দাগের সৃষ্টি হতে পারে। তাই ব্রণ হলে তাতে হাত দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবেঃ তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণের দাগ দূর করার উপায় এর মধ্য পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়। প্রতিদিন সকালে উঠে ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ পরিষ্কার রাখতে হবে এতে আপনার মুখের তৈলাক্ততা দূর হবে তাছাড়া বাইরে থেকে এসে মুখ ভালো করে ঠান্ডা পানি দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। এতে ব্রণ ও ব্রণের দাগ থেকে দূরে থাকা সম্ভব হবে।

আরও পড়ুনঃ 

যে সময়ে ব্রণ ও ব্রণের দাগ বেশি হয়ে থাকে

তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণের দাগ দূর করার উপায় এর আলোচনায় এখন আলোচনা করব যে সময়ে ত্বকে ব্রণের দাগ বেশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

  • কিশোর-কিশোরী বয়ঃসন্ধিকালে ব্রণ ও ব্রণ জনিত দাগের সমস্যা বেশি হয়ে থাকে।
  • মহিলাদের গর্ভাবস্থায় ব্রণ ও ব্রণের দাগ বেশি হয়ে থাকে।
  • রাত জাগলে সে সময়ে ব্রণের সমস্যা বেশি হয়ে থাকে
  • বেশি পরিমাণে দুশ্চিন্তা করলে ব্রণ ও ব্রণের দাগ জনিত সমস্যা বেশি হয়ে থাকে
  • অপরিষ্কার থাকলে ব্রণ ও ব্রণের দাগ বেশি হয়ে থাকে

ত্বক ভালো রাখতে যেসব ফেসওয়াশ ব্যবহার করা যেতে পারে

তৈলাক্ত ত্বকের তেলতেলে ভাব দূর করতে ও ত্বকের ব্রণ ও ব্রণের দাগ থেকে মুক্তির জন্য কিছু কিছু ফেসওয়াশ ব্যবহার করা যেতে পারে। যা মুখ পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করবে। চলুন তাহলে তৈলাক্ত ত্বকের ব্রনের দাগ দূর করার উপায় এ সম্পর্কে আলোচনার এ পর্যায়ে ত্বক ভালো রাখতে যেসব ফেসওয়াশ ব্যবহার করা যেতে পারে তা তুলে ধরা হলো।

  • সিম্পল ডেইলি স্কিন ডিটক্স পিউরি ফাইং ফেসিয়াল ওয়াশ
  • পিয়ার্স আল্ট্রা মাইড মাইল্ড ফেসওয়াশ ইন অয়েল ক্লিয়ার গ্লো
  • ডার্মালজিকা ব্রেক আউট ক্লিয়ারিং ফোমিং ওয়াশ
  • ল্যাকমে ব্লাস এন্ড গ্লো কিউরি ক্রাস জেল ফেসওয়াশ
  • পন্ডস পিম্পল ক্লিয়ার ফেসওয়াশ

শেষ কথাঃ তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণের দাগ দূর করার উপায়

আজকের এ আর্টিকেলে তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণের দাগ দূর করার উপায় ও ব্রণ, ব্রণের বিভিন্ন সমস্যা ইত্যাদি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আপনারা যারা তৈলাক্ত ত্বক ও তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণের দাগ নিয়ে সমস্যায় আছেন তারা আমার এই আর্টিকেল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়বেন। তাহলে আশা করছি আপনি তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণের দাগ দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। 

আমার এই আর্টিকেলে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যদি কোন ভুল থেকে থাকে তাহলে আপনারা ক্ষমা করবেন। এই আর্টিকেল পড়ে যদি আপনি উপকৃত হন তাহলে আপনার বন্ধু-বান্ধব ও কাছের মানুষদের কাছে শেয়ার করবেন। এতক্ষণ সাথে থাকার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url