মহিলাদের চুল পড়া বন্ধ করার ঘরোয়া উপায়

মহিলাদের চুল পড়া বন্ধ করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করব। বর্তমানে মহিলাদের চুল পড়ার সমস্যা টি দিন দিন বেড়েই চলেছে। এর প্রধান কারণ হচ্ছে রাসায়নিক প্রসাধনীর ব্যবহার।

মহিলাদের-চুল-পড়া-বন্ধ-করার-ঘরোয়া-উপায়

আমরা অনেকেই না জেনে বাজারের বিভিন্ন রাসায়নিক প্রোডাক্ট চুলে ব্যবহার করি যার ফলে আমাদের চুল পড়ার সমস্যা আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিছু ঘরোয়া টিপস রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করলে চুল পড়া সমস্যা বন্ধ হতে পারে সেগুলো নিয়ে আজকে এই আর্টিকেলে আলোচনা করব।

পোস্ট সূচীপত্রঃ মহিলাদের চুল পড়া বন্ধ করার ঘরোয়া উপায়

মহিলাদের চুল পড়া বন্ধ করার ঘরোয়া উপায়

চুল মহিলাদের সৌন্দর্যের অন্যতম অংশ গুলোর মধ্যে একটি। আর এই চুল পড়াটা যদি অস্বাভাবিক হয় তাহলে এটি দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। চুল বিভিন্ন কারণে পড়তে পারে। এর জন্য প্রধানত দায়ী বাজারের বিভিন্ন ভেজাল প্রোডাক্ট। তা ছাড়াও দুশ্চিন্তার কারণে বা হরমোন জনিত কারণেও চুল পড়তে পারে। কিছু ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করে চুল পড়া থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। 

যে উপাদান গুলো ব্যবহার করে ঘরোয়া উপায়ে চুল পড়া বন্ধ করা যায়। সেগুলো সচরাচর আমাদের ঘরে থেকে থাকে। শুধু এগুলো সঠিক ব্যবহার আমরা জানি না। এখন আমরা মহিলাদের চুল পড়া বন্ধ করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো। চলুন তাহলে কথা না বাড়িয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।

চুল পড়া বন্ধ করতে নারিকেল তেলের ব্যবহার

মহিলাদের চুল পড়া বন্ধ করার ঘরোয়া উপায় গুলোর মধ্যে নারিকেল তেলের ব্যবহার একটি অন্যতম উপায়। তবে এটি হতে হবে বাজারের ভেজালমুক্ত অরিজিনাল নারিকেল তেল। নারিকেল তেলে রয়েছে এক ধরনের ফ্যাটি অ্যাসিড ও লরিক অ্যাসিড যা চুলের গভীরে প্রবেশ করে প্রোটিনের ক্ষতি কমায়। নারিকেল তেলের ময়শ্চারাইজিং ও পুষ্টিকর উপাদান মাথার ত্বকে কন্ডিশন করতে ও চুলের গোড়া

মজবুত করতে সাহায্য করে। নারিকেল তেল চুল ভাঙ্গা রোধ করে এবং শুষ্কতা দূর করে চুল পড়া বন্ধ করতে সাহায্য করে। রাতে নারিকেল তেল হালকা গরম করে তা মাথায় ও চুলে ভালো করে মেসেজ করতে হবে। এরপর সকালবেলা শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলতে হবে। এভাবে সপ্তাহে দুই তিন দিন নিয়মিত ব্যবহার করলে চুল পড়া বন্ধ হতে সাহায্য করতে পারে।

মেহেদি পাতার ব্যবহার চুল পড়া বন্ধ করে

প্রাচীন কাল থেকে মেহেদী পাতার ব্যবহার চুল পড়া বন্ধ করতে ও চুলের বিভিন্ন সমস্যায় ব্যবহার হয়ে আসছে। মেহেদী পাতাতে রয়েছে প্রোটিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা মাথার ত্বককে ঠান্ডা রাখে ও চুলের গোড়া মজবুত করতে সাহায্য করে। ফলে চুল পড়া বন্ধ হয়। মেহেদী তে থাকা ভিটামিন ই ও টেনিন চুলকে মোলায়েম করতে সাহায্য করে। প্রাকৃতিক ফাঙ্গাস বিরোধী উপাদান মাথার ত্বকের খুশকি দূর করে। 

বাড়িতে থাকা গাছের মেহেদী পাতা বেটে মিহি করে তা চুলে লাগালে চুলের রং যেমন সুন্দর হয় তেমনি চুলের গোড়া মজবুত হয়। পাকা চুলে মেহেদী ব্যবহার করলেও চুলের রং যেমন পরিবর্তন হয় তেমনি চুল পাকা রোধ করতে সাহায্য করে। মেহেদি পাতা প্রাকৃতিক হলে তার সবচেয়ে ভালো হয়।কিন্তু এখন বাজারে অনেক মেহেদী পাতার গুড়া পাওয়া যায় এগুলোর চেয়ে বাসায় মেহেদী বেটে ব্যবহার করলে তা বেশি উপকারী। 

মেহেদি পাতা চুলে বিভিন্নভাবে ব্যবহার করা যায়। শুধু মেহেদী পাতা বেটে ব্যবহার করা যায় আবার মেহেদি পাতা টক দইয়ের সাথে মিলে চুলে ব্যবহার করা যায়। এছাড়া মেহেদি পাতা মুলতানি মাটির সঙ্গে মিশিয়ে মাথার তাকে ব্যবহার করলে তৈলাক্ত ভাব দূর হয়। মেহেদী পাতা সঠিকভাবে সঠিক উপকরণের সাথে ব্যবহার করতে পারলে চুল পড়া সহ চুলের নানাবিধ সমস্যা সমাধান করতে পারে।

আরও পড়ুনঃ এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার 

চুল পড়া বন্ধ করতে পেঁয়াজের রসের ব্যবহার

মহিলাদের চুল পড়া বন্ধ করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে আলোচনায় এখন চুল পড়া বন্ধ করতে পেঁয়াজের রসের ব্যবহার সম্পর্কে আলোচনা করব।চুল পড়া বন্ধ করতে পেঁয়াজের রসের ব্যবহার খুবই কার্যকরী। পেঁয়াজের রসে প্রচুর পরিমাণে সালফার থাকে যা মাথার ত্বকে রক্ত চলাচলে সাহায্য করে আর চুলের গ্রোথ বৃদ্ধি করে।

পেঁয়াজের রস চুল পড়া বন্ধ করে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। পেঁয়াজের রস বের করে তা মাথায় লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট পরে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। এছাড়া পেঁয়াজের রস ও নারিকেল তেল হালকা গরম করে মাথার ত্বকে লাগিয়ে .১৫-২০ মিনিট পরে ধুয়ে ফেলুন এতে চুল পড়া বন্ধ হবে ও নতুন চুল গজাতে সাহায্য করবে।

চুল পড়া বন্ধ করতে আমলকির ব্যবহার

চুল পড়া বন্ধ করতে আমলকি অনেক বেশি উপকারী। হালকা টক ও তিতো যুক্ত আমলকি ফলে রয়েছে অসংখ্য গুণাবলী। আমলকিতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। আমলকি খাওয়া ছাড়া আমলুকে তেল মাথায় ব্যবহার করা যায় এছাড়াও আমলকির রস ও মাথায় ব্যবহার করা যায়। এতে চুলের করা মজবুত হয় ও চুল পড়া বন্ধ হয়। 

তাছাড়া এটি মাথার ত্বকের খুশকি দূর করতে সাহায্য করে। আমলকিতে থাকা পোস্ট উপাদান গুলো চুলের ফলে গুলোকে মজবুত করে। আমলকি চুল পড়া কমানোর পাশাপাশি নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে। তাই মহিলাদের চুল পড়া সমস্যা সমাধানে আমলকি কে বেছে নিতে পারেন।

অ্যালোভেরা জেল চুল পড়া বন্ধ করে

অ্যালোভেরা জেল ত্বক ও চুলের জন্য খুবই কার্যকরী। অ্যালোভেরা জেল চুল পড়া বন্ধ করতে অত্যন্ত উপকারী। অ্যালোভেরাতে রয়েছে ভিটামিন, খনিজ ও এনজাইম যা চুল পড়ার সাধারণ কারণ গুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করে। এলোভেরাতে থাকা এনজাইম মাথার ত্বকের মৃত কোষগুলো দূর করে। এই ভেষজ উপকরণে থাকা ভিটামিন এ, সি ও ই মাথার ত্বকের স্বাস্থ্যকর কোষের জন্য জরুরী। 

অ্যালোভেরা প্রাকৃতিকভাবে চুলের কন্ডিশনারের কাজ করে। এটি চুলকে সফট ও মসৃণ করে। এলোভেরা চুল পরা বন্ধ করতে ও নতুন ভাবে চুল গজাতে সাহায্য করে। অ্যালোভেরা কিছু উপকরণ এর সাথে অথবা সরাসরি এটি চুলে ব্যবহার করা যায়। এলোভেরা অন্যান্য উপকরণের সাথে ব্যবহার করলে উপকারটা আরো বেশি পাওয়া যায়। 

অ্যালোভেরা থেকে জেল সংগ্রহ করে তা মাথার ত্বকে ও চুলে ভালো করে এপ্লাই করে ত্রিশ মিনিট পর ধুয়ে ফেলতে হবে। এছাড়া এলোভেরা নারিকেল তেলের সাথে মিশিয়ে আবার লেবুর সঙ্গে মিশেও চুলে এপ্লাই করা যায়। খুশকি দূর করতে এলোভেরা নারকেল তেল ও লেবুর সাথে মিশিয়ে মাথার ত্বকে লাগাতে পারেন। এতে খুশকি দূর হবে ও চুল পড়া কমবে।

চুল পড়া বন্ধ করতে টক দইয়ের ব্যবহার

চুল পড়া বন্ধ করতে টক দইয়ের জুড়ি নেই। টক দই এ রয়েছে নানারকম পুষ্টি উপাদান যা চুলকে সুস্থ সুন্দর করতে মাথার খুশকি দূর করতে সাহায্য করে। টক দই শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। অতিরিক্ত ঘামার ফলে মাথার ত্বক ভেজা থাকলে চুল পড়া সমস্যা হয়ে থাকে। তাই টক দই খেলে শরীর ঠান্ডা হয়ে থাকে যার ফলে মাথার ত্বক ঘামার সম্ভাবনা থাকে না। 

এতে চুল পড়ার সমস্যাটাও হবে না। দই এ থাকা ল্যাকটিক অ্যাসিড মাথার ত্বক পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। দই মাথার ত্বকের মৃত কোষ দূর করতে সাহায্য করে। এজন্য চুলের গোড়া মজবুত হয় ও চুল পড়ার সমস্যা দূর হয়। এবার জেনে নেওয়া যাক চুল পড়া বন্ধ করতে টক দই কিভাবে ব্যবহার করবেন।

  • সরাসরি টক দই মাথার ত্বক ও চুলে ব্যবহার করা যায়। 
  • এছাড়া টক দইয়ের সাথে মধু মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করা যায়। 
  • আবার টক দই লেবুর সঙ্গে মিশিয়ে মাথার ত্বকে ও চুলে ব্যবহার করা যায়। 
  • টক দই ও ডিম একসাথে ভালো করে ফেটিয়ে নিয়ে চুলে ব্যবহার করে ১০-১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। 
  • পাকা কলার সঙ্গে টক দই ভালো করে ফেটিয়ে তা চুল ও মাথার ত্বকে ইউজ করলে চুল পড়া বন্ধ হবে চুল সুন্দর স্বাস্থ্যের জল ও ময়শ্চারাইজিং হবে।

আরও পড়ুনঃ ত্বক ফর্সা করার ঘরোয়া উপায়

মেথি চুল পড়া বন্ধ করতে সাহায্য করে

প্রাচীনকাল থেকে মেথি চুলের যত্নে ও পেটের নানা সমস্যায় ব্যবহার হয়ে আসছে। মেথিতে রয়েছে প্রচুর প্রাকৃতিক গুণাবলী। মেথি বীজে থাকা প্রোটিন ও নিকোটিন অ্যাসিড চুলকে মজবুত করে, চুলের গোড়া শক্ত করে ও চুল পড়া বন্ধ করতে সাহায্য করে। মেথি প্রাকৃতিক, সহজলভ্য ও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হীন। মেথি খুব সহজে সংগ্রহ করা সম্ভব। মেথিতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও এন্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য যা মাথার ত্বকের সংক্রমণ দূর করে। মেথি বিভিন্নভাবে মাথার ত্বক ও চুলে এপ্লাই করা যায়। 

  • সারারাত মেথি ভিজিয়ে রেখে সকালে সে ভেজানো পানি সহ মেথি ভালো করে ব্লেন্ড করে নিয়ে তা মাথার ত্বক ও চুলে এপ্লাই করে ১৫-২০ মিনিট পরে তা ধুয়ে ফেলতে হবে। 
  • এছাড়া মেথি বেটে তা নারিকেল তেলের সাথেও ব্যবহার করলে চুল পড়ার ক্ষেত্রে ভালো উপকার পাওয়া যায়। 
  • চুল পড়া কমাতে ও নতুন চুল গজানোর জন্য মেথির সঙ্গে পেঁয়াজের রস মিশিয়ে মাথায় এপ্লাই করা যেতে পারে। 
  • চুলকে সুন্দর ও মসৃণ করতে মেথির পেস্ট এর সঙ্গে মধু মিশিয়ে তা মাথার ত্বকে ও চুলে লাগানো যেতে পারে 
  • এছাড়াও মাথার ত্বকের সংক্রমণ দূর করতে মেথির সঙ্গে লেবু মেশিয়ে তা মাথার ত্বকে ও চুলে লাগান। 
  • চুলকে সুন্দর ও মসৃণ করতে ও চুলের আগা ফাটা রোধ করতে মেথির সঙ্গে অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে মাথার ত্বকে ও চুলে লাগানো যেতে পারে

চুল পড়া বন্ধ করতে নিম পাতার ব্যবহার

নিমপাতা ত্বক ও চুলের যত্নে বহু যুগ ধরেই ব্যবহার হয়ে আসছে। নিমপাতা  ও নিমের তেল মাথা ঠান্ডা করতে ও চুলের খুশকি দূর করতে, চুলের উকুন দূর করত, চুলের গোড়া মজবুত করতে অনেক বেশি সাহায্য করে। নিম পাতার এন্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য মাথার ত্বকে থাকা তেল ও মৃত কোষ দূর করে। নিমপাতা মাথার রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে এতে চুলের গ্রোথ বৃদ্ধি পায়। 

চুল পড়া বন্ধ করতে নিমপাতা বেটে সরাসরি তা চুলের মাথায় ইউজ করা যেতে পারে। এছাড়া নিমপাতা সারারাত ভিজিয়ে রেখে তা ফুটিয়ে সেই পানি মাথায় ইউজ করলেও উপকার পাওয়া যায়। নিমপাতা নারিকেল সঙ্গে নারিকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করতে পারেন। চুলকানি দূর করতে নিম পাতা খুবই কার্যকরী। 

তাই নিম পাতার রস মাথার ত্বকে লাগালে মাথার ত্বকের চুলকানি ভালো হয়  ও চুলের গোড়া মজবুত করে চুলকে মসৃণ করতে ও নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। এছাড়া নিম পাতার রস আমলকি রসের সাথে ও লেবুর রস ও প্রয়োজন বোধে টক দইয়ের সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করলে চুল পড়ার ক্ষেত্রে উপকার পাওয়া যায়।

চুল পড়া বন্ধ করতে গ্রিন টি

মহিলাদের চুল পড়া বন্ধ করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে আলোচনায় এখন আলোচনা করব গ্রিন টি কিভাবে চুল পড়া বন্ধ করতে সাহায্য করে। গ্রিন টি শুধু ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে না এটি ত্বক ও চুল ভালো রাখতেও অনেক বেশি সাহায্য করে। গ্রিন টি তে থাকা আন্টি অক্সিডেন্ট চুল পড়া রোধ করে চুলের গোড়া মজবুত করে এবং চুলকে অনেক বেশি স্বাস্থ্য উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। 

গ্রিন টি বানিয়ে তারপর টা ঠান্ডা করে চুলে লাগিয়ে 15 মিনিট পরে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে। এ ছাড়া গ্রিন টি অন্যান্য উপকরণের সাথেও ব্যবহার করতে পারেন। গ্রিন টি টক দই, মধু, লেবু, অ্যালোভেরা জেল ও অলিভ অয়েল এর সাথেও ব্যবহার করা যায়। এতে চুল পড়া সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে অনেক উপকার পাওয়া যাবে বলে আশা করছি।

মেয়েদের চুল পড়ার কারণগুলো কি 

মেয়েদের চুল পড়া স্বাভাবিক ব্যাপার। তবে এটা যদি অতিরিক্ত হয় তাহলে দুশ্চিন্তার বিষয়। বিভিন্ন কারণে মেয়েদের চুল পড়ে থাকে। মেয়েদের যেসব কারণে চুল পড়তে পারে তা এখন নিম্নে তুলে ধরা হলোঃ

  • বংশগত কারণে অনেক সময় মেয়েদের অল্প বয়সে চুল পড়ে পাতলা হয়ে যায়।
  • হরমোন জনিত কারণেও অনেক সময় মেয়েদের চুল পড়ে থাকে যেমন গর্ভাবস্থায়, থাইরয়েড , প্রভৃতি কারণে অনেক সময় মেয়েদের চুল পড়ে থাকে।
  • অপরিষ্কার জনিত কারণে বা ঠিকমতো চুলের যত্ন না নিলেও চুল পড়তে পারে।
  • রাত জাগা বা পর্যাপ্ত না ঘুমালেও অনেক সময় চুল পড়ে থাকে।
  • দীর্ঘদিন মানসিক চাপ অতিরিক্ত চুল পড়ার কারণ হতে পারে।
  • পর্যাপ্ত পানি পান না করলেও অনেক সময় চুল পড়তে পারে।
  • পুষ্টির অভাবজনিত কারণেও যেমন ভিটামিন১২ আইরন জিং ক প্রভৃতির অভাবজনিত কারণে অতিরিক্ত চুল পড়তে পারে।
  • মাথার ত্বক ও চুল দীর্ঘ সময় ভেজা অবস্থায় থাকলে চুল পড়ে যেতে পারে।
  • মাথার ত্বকে অতিরিক্ত খুশকি সমস্যা হলেও চুল পড়ে যেতে পারে।
  • চুলে বিভিন্ন রাসায়নিক প্রোডাক্ট ইউজ করা বা চুলে হিট দেওয়া চুল পড়া বৃদ্ধি করে। 

শেষ কথাঃ মহিলাদের চুল পড়া বন্ধ করার ঘরোয়া উপায়

মহিলাদের চুল পড়া বন্ধ করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনার করার চেষ্টা করেছি। চুল পড়া একটি কমন সমস্যা এটা যদি দৈনিক ৫০ থেকে ১০০টি হয়ে থাকে তাহলে তা স্বাভাবিক তবে এরচেয়ে অধিক যদি হয়ে থাকে তাহলে সেটা আসলে চিন্তার কারণ। এর জন্য আমাদের সবসময় ন্যাচারাল প্রোডাক্ট ইউজ করতে হবে। 

বাজারের বিভিন্ন ভেজালযুক্ত প্রোডাক্ট ইউজ করা বন্ধ করতে হবে। চুলের সঠিক যত্ন নিতে হবে সেই সাথে চুল সব সময় পরিষ্কার ও শুকনো রাখার চেষ্টা করতে হবে। চুল কেন পড়ছে তা চিহ্নিত করে চুল পড়াটা যদি অস্বাভাবিক হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। 

আশা করছি আপনারা আমার আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়লে মহিলাদের চুল পড়া বন্ধ করার ঘরোয়া উপার সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পাবেন। আমার এই আর্টিকেলের যদি কোন ভুল হয়ে থাকে তাহলে আপনারা ক্ষমা করবেন। এতক্ষণ সাথে থাকার জন্য আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url